সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘ঘুষের টাকাসহ’ আটকৃত দুই নার্সের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত ) মোহাম্মদ হানিফ বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন বলে বুধবার মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি মঈন উদ্দিন।
ওসি বলেন, মামলায় তিনব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে আটক হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. আমিনুল ইসলাম ও সুমন চন্দ্র দেবকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। প্রধান আসামি ওসমানী হাসপাতাল নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেককে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সম্প্রতি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স গীতা রানী হালদারের আট বছরের প্রাপ্য ৩৪ লাখ টাকা বকেয়া বিল করে দেওয়ার বিনিময়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন সাদেক। পরে গীতাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও চাপ দিয়ে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিতে রাজি করান।
তারপর- গীতা তাকে অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা দেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার সময় সাদেকের দাবি করা বাকি ৬ লাখ টাকা আমিনুলের কাছে জমা দেন গীতা। তখন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমিনুলকে নগদ ৬ লাখ টাকাসহ আটক করে একটি সংস্থার সদস্যরা। পরে আমিনুলের দেওয়া তথ্যমতে সুমনকে আটক করা হয়। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, “হাসপাতালের সিনিয়র নার্স আমিনুল ও সুমন ঘুষ লেনদেনকালে আটক হন; এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হাসপাতালের উপ–পরিচালককে প্রধান করে গঠিত চার সদস্যদের তদন্ত কমিটি ৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী তাদের বরখাস্তের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”