ঢাকা ০১:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কুমিল্লা’র গডফাদার বাহার-সূচনাসহ ৪০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা মানুষ এথন শহরের সব সুবিধা পাচ্ছে গ্রামে- প্রতিমন্ত্রী পলক ২৩ রোহিঙ্গাকে অস্রসহ পুলিশের নিকট হসতান্তর কুমিল্লা’য় দুই সন্তানের জননী রিমা’র ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার কুমিল্লা ডিবি পুলিশের অভিযানে আন্ত:জেলা ট্রান্সফরমার চোর চক্রের পাঁচ সদস্য আটক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ছাত্রীর গায়ে শিক্ষকের ‘হাত’ গণহারে সাধারণ আসামীদের ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না-হাইকোর্ট মেডিক্যাল ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণের নির্দেশ-হাইকোর্ট শুক্রবার থেকে টঙ্গীতে শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা বঙ্গবন্ধুর খুনি মোশতাকের বাড়ির কেয়ার টেকার নিজাম গ্রেফতার

কুমিল্লা’র গডফাদার বাহার-সূচনাসহ ৪০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

কুমিল্লায় ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের সময় কোটবাড়ি বিশ্বরোডের নন্দনপুরে মাসুম মিয়া নামে একজন নিহতের ঘটনায় কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল খায়ের মোহাম্মদ (আ ক ম) বাহাউদ্দিন বাহার ও তার মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের পলাতক মেয়র তাহসিন বাহার সূচনাসহ ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত অন্তত ৪০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। রবিবার রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় এ হত্যা মামলা করা হয়। কুমিল্লার দিশাবন্দ এলাকার মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে আবদুল হান্নান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৪ আগস্ট ভিকটিম কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রামপুরের শাহিন মিয়ার ছেলে মাসুম মিয়া কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার কোটবাড়ি বিশ্বরোডস্থ নন্দনপুরে শিক্ষার্থী ও আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন। প্রথমে তার পরিচয় না পাওয়ায় তাকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছিল। এদিকে মামলায় আসামিদের সবাই সাবেক এমপি বাহারের ঘনিষ্ঠ এবং তার নিয়ন্ত্রিত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা, চিহ্নিত ক্যাডার ও অস্ত্রবাজ।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ম. আলমগীর ভূঁইয়া।

মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয় কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল খায়ের মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন বাহারকে। দ্বিতীয় আসামি করা হয় তার মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের পলাতক মেয়র তাহসিন বাহার সূচনাকে।

এছাড়া কুমিল্লা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন, কুমিল্লা সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আহম্মেদ নিয়াজ পাভেল, কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিন্টু, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান পিয়াস, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর হাবিবুর আল আমিন সাদী, ক্রিকেট বোর্ডের কাউন্সিলর সাইফুল আলম রনি (জামাই রনি), কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদ, কুমিল্লার বাগিচাগাঁওয়ের কাউসার জামান কায়েস, তালপুকুর পাড়ের সুজন দত্ত, কালিয়াজুড়ির মুরাদ মিয়া, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আজাদ হোসেন, কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর ইকরামুল হক, রেইসকোর্সের আবদুল কাইয়ুম, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আবুল হাসান, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান মাসুদ, কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আজিজুল হক শিহানুক, কুমিল্লার মধ্যম আশ্রাফপুরের নাজমুল ইসলাম শাওন, ছাত্রলীগ নেতা সালেহ আহম্মেদ রাসেল, কুমিল্লার অশোকতলার শাহ আলম খান, শাসনগাছার আবু হেনা, সাক্কু, ধর্মপুরের শহীদুল ইসলাম চপল, ফখরুল ইসলাম রুবেল, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর গাজী গোলাম সরওয়ার শিপন, কুমিল্লা সদর দক্ষিণের শ্রীমন্তপুরের দুলাল হোসেন অপু, নেউয়ারার জাকির হোসেন, পাথুরিয়াপাড়ার প্রিতুল, শাকতলা মীর পুকুর পাড়ের রবিন, কালা মোস্তফা, অশোকতলার সাইফুল ইসলাম খোকন, শ্রীভল্লবপুরের মো. মেহেদী, পাঁচথুবির চেয়ারম্যান হাসান রাফি রাজু, শিমপুরের মনিরুজ্জামান মনির, ব্রাহ্মণপাড়ার ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান শরীফ, শিমপুরের নিতান্ত, শ্রীভল্লবপুরের আবদুল মালেক ভূঞা, মো. খাইরুল হাসান, মো. হানিফ দুলাল, ঢুলিপাড়ার রাশেদুজ্জামান রাশেদ, শাসনগাছার জালাল, দক্ষিণ বিজয়পুরের মো. জাফর আহম্মদ শিপন, মোস্তফাপুরের মুন্সীবাড়ির মো. হাসান, মনোহরপুরের মোখলেছুর রহমান, বাগিচাগাঁওয়ের শফিকুর রহমানের ছেলে বাপ্পি, দৌলতপুরের ছায়া বিতানের জালাল (পিচ্চি জালাল), কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ সোহেল, দক্ষিণ চর্থার কাউসার আহমেদ খন্দকার ও আকাশ, মুন্সেফবাড়ির ফরহাদ উল্লাহ, লক্ষ্মীনগরের কবির হোসেন, দিশাবন্দের গোলাম মোস্তফা, দুলাল মিয়া, জিয়াউর রহমান, লক্ষ্মীনগরের জালাল, সুজানগর চৌমুহনীর জালাল ও হানিফসহ অজ্ঞাত ৪০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা দীর্ঘদিন ক্ষমতার অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে কুমিল্লার স্থানীয় জনগণসহ ছাত্র-জনতার ওপর অন্যায় অত্যাচার করে আসছে। বিবাদীরা উচ্ছৃঙ্খল, পরধন লোভী, লুটপাটকারী। গত ৪ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন নন্দনপুর কোটবাড়ি বিশ্বরোড পাকা রাস্তার ওপর শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিলেন। এদিন বিকাল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে ১ নম্বর আসামি বাহাউদ্দিন বাহারের হুকুমে বর্ণিত আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৩০০-৪০০ জন বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে প্রাণঘাতী মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গা সংগঠন করে ২ নম্বর আসামি তাহসীন বাহার সূচনার হুকুমে হত্যার উদ্দেশ্যে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করে। এতে ভুক্তভোগী কুমিল্লার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রামপুরের শাহিন মিয়ার ছেলে মাসুম মিয়া সহ আরো অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। বিবাদীদের এলোপাতাড়ি ছোড়া গুলিতে ভুক্তভোগী মো. মোখলেছের ডান পায়ে, ভুক্তভোগী মো. ফাহাদের বাম হাতের বাহুতে, ভুক্তভোগী মো. রিমন এবং মো. মুহিনের শরীরে ছররা গুলিতে গুরুতর জখম হন। উক্ত হত্যাকান্ডের বিষয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি আলমগীর ভূঁইয়া বলেন, রবিবার রাতে নিহত মাসুমের পরিবার মামলাটি করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লা’র গডফাদার বাহার-সূচনাসহ ৪০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

কুমিল্লা’র গডফাদার বাহার-সূচনাসহ ৪০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

আপডেট সময় ০৪:০২:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪
কুমিল্লায় ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের সময় কোটবাড়ি বিশ্বরোডের নন্দনপুরে মাসুম মিয়া নামে একজন নিহতের ঘটনায় কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল খায়ের মোহাম্মদ (আ ক ম) বাহাউদ্দিন বাহার ও তার মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের পলাতক মেয়র তাহসিন বাহার সূচনাসহ ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত অন্তত ৪০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। রবিবার রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় এ হত্যা মামলা করা হয়। কুমিল্লার দিশাবন্দ এলাকার মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে আবদুল হান্নান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৪ আগস্ট ভিকটিম কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রামপুরের শাহিন মিয়ার ছেলে মাসুম মিয়া কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার কোটবাড়ি বিশ্বরোডস্থ নন্দনপুরে শিক্ষার্থী ও আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন। প্রথমে তার পরিচয় না পাওয়ায় তাকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছিল। এদিকে মামলায় আসামিদের সবাই সাবেক এমপি বাহারের ঘনিষ্ঠ এবং তার নিয়ন্ত্রিত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা, চিহ্নিত ক্যাডার ও অস্ত্রবাজ।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ম. আলমগীর ভূঁইয়া।

মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয় কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল খায়ের মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন বাহারকে। দ্বিতীয় আসামি করা হয় তার মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের পলাতক মেয়র তাহসিন বাহার সূচনাকে।

এছাড়া কুমিল্লা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন, কুমিল্লা সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আহম্মেদ নিয়াজ পাভেল, কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিন্টু, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান পিয়াস, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর হাবিবুর আল আমিন সাদী, ক্রিকেট বোর্ডের কাউন্সিলর সাইফুল আলম রনি (জামাই রনি), কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদ, কুমিল্লার বাগিচাগাঁওয়ের কাউসার জামান কায়েস, তালপুকুর পাড়ের সুজন দত্ত, কালিয়াজুড়ির মুরাদ মিয়া, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আজাদ হোসেন, কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর ইকরামুল হক, রেইসকোর্সের আবদুল কাইয়ুম, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আবুল হাসান, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান মাসুদ, কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আজিজুল হক শিহানুক, কুমিল্লার মধ্যম আশ্রাফপুরের নাজমুল ইসলাম শাওন, ছাত্রলীগ নেতা সালেহ আহম্মেদ রাসেল, কুমিল্লার অশোকতলার শাহ আলম খান, শাসনগাছার আবু হেনা, সাক্কু, ধর্মপুরের শহীদুল ইসলাম চপল, ফখরুল ইসলাম রুবেল, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর গাজী গোলাম সরওয়ার শিপন, কুমিল্লা সদর দক্ষিণের শ্রীমন্তপুরের দুলাল হোসেন অপু, নেউয়ারার জাকির হোসেন, পাথুরিয়াপাড়ার প্রিতুল, শাকতলা মীর পুকুর পাড়ের রবিন, কালা মোস্তফা, অশোকতলার সাইফুল ইসলাম খোকন, শ্রীভল্লবপুরের মো. মেহেদী, পাঁচথুবির চেয়ারম্যান হাসান রাফি রাজু, শিমপুরের মনিরুজ্জামান মনির, ব্রাহ্মণপাড়ার ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান শরীফ, শিমপুরের নিতান্ত, শ্রীভল্লবপুরের আবদুল মালেক ভূঞা, মো. খাইরুল হাসান, মো. হানিফ দুলাল, ঢুলিপাড়ার রাশেদুজ্জামান রাশেদ, শাসনগাছার জালাল, দক্ষিণ বিজয়পুরের মো. জাফর আহম্মদ শিপন, মোস্তফাপুরের মুন্সীবাড়ির মো. হাসান, মনোহরপুরের মোখলেছুর রহমান, বাগিচাগাঁওয়ের শফিকুর রহমানের ছেলে বাপ্পি, দৌলতপুরের ছায়া বিতানের জালাল (পিচ্চি জালাল), কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ সোহেল, দক্ষিণ চর্থার কাউসার আহমেদ খন্দকার ও আকাশ, মুন্সেফবাড়ির ফরহাদ উল্লাহ, লক্ষ্মীনগরের কবির হোসেন, দিশাবন্দের গোলাম মোস্তফা, দুলাল মিয়া, জিয়াউর রহমান, লক্ষ্মীনগরের জালাল, সুজানগর চৌমুহনীর জালাল ও হানিফসহ অজ্ঞাত ৪০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা দীর্ঘদিন ক্ষমতার অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে কুমিল্লার স্থানীয় জনগণসহ ছাত্র-জনতার ওপর অন্যায় অত্যাচার করে আসছে। বিবাদীরা উচ্ছৃঙ্খল, পরধন লোভী, লুটপাটকারী। গত ৪ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন নন্দনপুর কোটবাড়ি বিশ্বরোড পাকা রাস্তার ওপর শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিলেন। এদিন বিকাল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে ১ নম্বর আসামি বাহাউদ্দিন বাহারের হুকুমে বর্ণিত আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৩০০-৪০০ জন বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে প্রাণঘাতী মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গা সংগঠন করে ২ নম্বর আসামি তাহসীন বাহার সূচনার হুকুমে হত্যার উদ্দেশ্যে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করে। এতে ভুক্তভোগী কুমিল্লার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রামপুরের শাহিন মিয়ার ছেলে মাসুম মিয়া সহ আরো অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। বিবাদীদের এলোপাতাড়ি ছোড়া গুলিতে ভুক্তভোগী মো. মোখলেছের ডান পায়ে, ভুক্তভোগী মো. ফাহাদের বাম হাতের বাহুতে, ভুক্তভোগী মো. রিমন এবং মো. মুহিনের শরীরে ছররা গুলিতে গুরুতর জখম হন। উক্ত হত্যাকান্ডের বিষয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি আলমগীর ভূঁইয়া বলেন, রবিবার রাতে নিহত মাসুমের পরিবার মামলাটি করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।